মোহাম্মদ ইকবাল হাসান সরকারঃ
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিশ্বের ২১২টি দেশ ও অঞ্চলে করোনার বিস্তার ঘটেছে।এর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৪তম। প্রতিবেশী দেশ ভারত, পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের অবস্থান ভালো হলেও পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতিশীল।ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে বলেই স্পষ্ট প্রতীয়মান হচ্ছে।১২ মে ২০২০ ইং তারিখ মঙ্গলবার সংসদ ভবনের নিজের সরকারি বাসভবন থেকে এক ভিডিওবার্তায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।ত্রাণ কার্যক্রমে অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকার কঠোর অবস্থানে আছে বলেই সামান্য অপরাধ করলেও কেউ রেহাই পাচ্ছে না।ইতিমধ্যে সব অনিয়মের বিরুদ্ধে আইনগত, প্রশাসনিক ও দলীয় ব্যবস্থাগ্রহণ তারই প্রমাণ।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১ দশকে বাংলাদেশ যেই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও সক্ষমতা অর্জন করেছে, তার কারণেই এই সংকটকালে এত বিপুল পরিমাণ প্রণোদনা ও ত্রাণ সহায়তা প্রদান সম্ভব হচ্ছে বলেও জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, চিকিৎসকদের প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখা ও বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা পরিস্থিতির কারণে সীমিত হয়ে পড়েছে, এতে সাধারণ রোগীরা অন্যান্য রোগের চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করে প্রতিদিন সামান্য সময় প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখার জন্য চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানান।সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরবলেন, করোনার এই সংকটে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ১ কোটি মানুষকে রেশনের আওতায় আনা হয়েছে, ৫০ লাখ মানুষকে নগদ সহায়তা প্রদান সমসাময়িক বিশ্বে নজিরবিহীন।করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে ঈদে অনলাইনে শপিং করারও আহ্বান জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।